Android ডিভাইস দিয়ে হ্যাকিং শিখুন

আপনি চাইলে এন্ড্রোয়েড (android) এ কালি লিনাক্স, (Kali Linux) উবুন্টু (Ubuntu) ইনস্টল করতে পারবেন খুব সহজেই । এছাড়াও অনেক এন্ড্রোয়েড সফটওয়্যার রয়েছে



আমারা সবাই Android ও IOS এর সাথে পরিচিত । কমবেশি Android ও IOS ব্যাবহার করে থাকি । বর্তমান সময়ে Android হলো জন্যপ্রিয় এবং অনেক পাওয়ারফুল একটি অপারেটিং সিস্টেম । অনেক কিন্তু আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষেরই ধারণা আছে যে আমরা Android অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে কি কি করতে পারবো ।



 Android ব্যাবহার করে আমরা অনেক কাজ করে থাকি । যে সমস্ত কাজ করতে আগে কম্পিউটার ব্যাবহার করা হতো এখন তার অনেক কাজই আমরা আমাদের মোবাইল ফোন দিয়েই করে থাকি । Android আসার পর থেকে আমাদের কাজ গুলো অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে ।
 
 


আজকে আমরা জানবো যে আমরা Android ব্যাবহার করে হ্যাকিং বা পেনটেস্টিং সম্ভব কিনা। 


 আমরা জানি পেনটেস্টিং বা হ্যাকিং করতে  কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর দরকার হয় । তবে আমরা কি পেনটেস্টিং এর জন্য Android কে ব্যাবহার করতে পারব ? হ্যা, Android ব্যাবহার করেও আমরা হ্যাকিং, পেনটেস্টিং করতে পারবো তবে কিছু লিমিটেশন রয়েছে । তার আগে আমাদের জানা উচিৎ Android কি? 

এন্ড্রোয়েড কি? 


এন্ড্রোয়েড মুলত একটি অপারেটিং সিস্টেম । যেটি মুলত Linux Kernel এর একটি মডিফাইড ভার্সন থেকে তৈরি করা হয়েছে । যার মাধ্যমে সিস্টেম কে অপারেট করা হয় । লিনাক্স একটি ওপেন সোর্স প্রোজেক্ট । তবে এন্ড্রোয়েড তৈরি করার ক্ষেত্রে লিনাক্স ছাড়াও আর অনেক ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যাবহার করা হয়েছে । 



হ্যাকিং এ এন্ড্রোয়েড ব্যাবহার এর সূবিধা :


 এন্ড্রোয়েড এ যদি আপনি যদি Rooted user হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনেক কিছুই করতে পারবেন । এন্ড্রোয়েড  Root User হলে আপনি Non Root User এর থেকে একটু বেশি সূবিধা পাবেন । চলুন দেখে নেই Root User হলে কি কি করা সম্ভব এবং Non Root User হলে কি কি করা সম্ভব। 


Non Root User এর সূবিধা ঃ 


 এন্ড্রোয়েড  (Android)  দিয়ে আপনি ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারবেন । আপনি চাইলে Manually XSS Bug ও বের করতে পারবেন । SQL Attack করতে পারবেন । Exploit করতে পারবেন । Kali Linux, ubuntu , Parrot এ যেমন টার্মিনাল রয়েছে ঠিক তেমনি Android এর জন্য ও অনেক টারমিনাল রয়েছে যেমন GNU Root Debine, Termux সহ অনেক । আর Automation এ করতে চাইলে termux ব্যাবহার করতে পারেন । 

Termux এ আপনি পেনেটেরেশন টেস্ট ছাড়াও বিভিন্ন হ্যাকিং স্ক্রিপ্ট ব্যাবহার করতে পারবেন । ওয়েবসাইট হ্যাক করার জন্য আপনি চাইলে Anon Hackbar, Andro hackbar এসব ব্যাবহার করতে পারবেন। এগুলোতে প্রি-লোডেড কিছু পে-লোড, কোড থাকে যার কারনে খুব সহজেই আপনি SQL, XSS সহ অনেক কিছুই করতে পারবেন।

 Android এ Termux হলো বাহুবলির কাটাপ্পার মতো । termux হলো linux based Terminal Emulator. কালি লিনাক্স এর মতোই । এটা দিয়ে আপনি অনেক কাজ করতে পারবেন । কোডিং , ফিশিং পেজ বানানো, ডিভাইস হ্যাক করতে পারবেন । পেলোড বানাতে পারবেন । পেনটেস্টিং করতে পারবেন । Termux দিয়ে আপনি কম্পিউটার ও হ্যাক করে ফেলতে পারবেন ।


সার্চ ইঞ্জিন Shodan ব্যাবহার করে পাবলিক CCTV ক্যামেরা গুলো চেক করতে পারবেন । Email স্প্যামিং করতে পারবেন । 


আপনি চাইলে এন্ড্রোয়েড  (android) এ কালি লিনাক্স, (Kali Linux) উবুন্টু  (Ubuntu) ইনস্টল করতে পারবেন খুব সহজেই । এছাড়াও অনেক এন্ড্রোয়েড  সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে হ্যাকিং এর অনেক কাজ করতে পারবেন । 


নোট : Termux শুধু Android এর lolipop ও এর পরের ভার্সন গুলোতেই সাপোর্ট করবে । এর আগের ভার্সন গুলোতে সাপোর্ট করবে না ।



Root User এর সূবিধা ঃ 


যদি আপনি Root User হয়ে থাকেন তাহলে  Non Root User এর সূবিধার সাথে আপনি খুব সহজেই কালি লিনাক্স ইনস্টল করে ব্যবহার করতে পারবেন । এছাড়া Rooted সফটওয়্যার তো ব্যাবহার এর সুবিধা ত থাকছেই। আপনি চাইলে Android এ RDP (Remote Desktop Protocol) পুরো OS যেমন Windows ব্যাবহার করতে পারবেন এবং windows এর সকল সুবিধা নিতে পারবেন । আপনি Android ব্যাবহার করে Android Apps গুলো modify করে নিজের মতো করে ব্যাবহার করতে পারবেন । 


এছারা ১ টি Apps কে একাধিক Apps বানিয়ে একই সাথে আলাদা আলাদা ভাবে ব্যাবহার করতে পারবেন। ছোট ছোট গেমস ও মডিফাই করে মজা নিতে পারবেন। lucky Pachter, Game killer, Game Guardian Apps গুলো ব্যাবহার করে গেমস এর কয়েন লাইফ লিমিট ইচ্ছে মত বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারবেন । এছাড়া যে Apps গুলোতে Ads আসে আপনি চাইলে এগুলো ব্যাবহার করে Ads সরিয়ে ফেলতে পারবেন ।


 Monitor Mood Supported Adapter থাকলে আপনি WiFi ও হ্যাক করতে পারবেন। এন্ড্রোয়েড দিয়ে আপনি carding ও করতে পারবেন । তবে সফলতা খুবই কম । Payment failed আসবে । তবে RDP ব্যাবহার করে করতে পারবেন ।

 Root user দের সূবিধা বেশি আগেই বলেছি । আপনি Rooted User হলে MITM (Man In The Middle Attack) ও করতে পারবেন । অনেক ধরনের Packet Analysis করতে পারবেন। Apk tool ব্যাবহার করে Android Apps reverse Engneering ও করতে পারবেন। সার্চ ইঞ্জিন Shodan ব্যাবহার করে পাবলিক CCTV ক্যামেরা গুলো চেক করতে পারবেন । Email স্প্যামিং করতে পারবেন । 


যদি temper data এর কথা বলি তাহলে দেখবেন অনেকসময় PHP Shell Upload নেয় না । এর জন্য JPG extention বানিয়ে upload দিয়ে data tempering করে post data edit করে PHP format এ সার্ভারে আপলোড করা হয়ে থাকে । আপনি চাইলে এটিও Android দিয়ে করতে পারবেন। 


 এছাড়া Web Design, DMCA report, video Edit, photo editing গুলো তো কমবেশী সবাই করে থাকেন । আসুন এবার কিছু Apps এর সাথে পরিচিত হই যেগুলো হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে অনেক হেল্পফুল হবে ।


01. Orbot02. Fing – Network Tools03. Lucky Patcher04. Nmap for Android05. NetCut
06. Androrat07. DriveDroid08. zANTI09. Network Mapper10. WiFi Kill
11. USB Cleaver12. dSploit13. Network Manager14. Termux15. Kali Linux NetHunter
16. WPS Connect17. SSHDroid22. APKInspector42. Andro Hackbar41. Anon Hackbar



  উপরের টেবিলের সফটওয়্যার গুলো সবগুলোই মুলত এন্ড্রোয়েড এর জন্য । এই সকল সফটওয়্যার রুট ইউজার এবং নন রুট ইউজার দের জন্য। এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করা জানলে আপনি এন্ড্রোয়েড ডিভাইস এর মাধ্যমে অনেক কিছু হ্যাক করতে পারবেন। এছাড়া termux কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানা থাকলে লিনাক্স ব্যবহার করা আপনার জন্য অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে । আসা করি পোস্ট টি আপনার ভাল লেগেছে। এরকম আর পোস্ট পেতে আমাদের কে ফলো করতে পারেন ।
LihatTutupKomentar